স্কাউটিং (ইংরেজি: Scouting) বিশ্বব্যাপী একটি যুব সংস্থা। এর লক্ষ্য যুবকদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, যাতে করে তারা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। স্কাউট আন্দোলন ১৯০৭ সালে লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল শুরু করেন।[১] তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল। বর্তমানে পৃথিবীর ১০০ কোটি স্কাউট ও গার্লস গাইড বিভিন্ন স্কাউটিং সমিতির প্রতিনিধিত্ব করছে।
কাউটিং-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলী উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। স্কাউট কার্যক্রমে কতগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। হাতেকলমে কাজশেখা; ছোট-দল পদ্ধতিতে কাজ করা; ব্যাজ পদ্ধতির মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি প্রদান; মুক্তাঙ্গনে কাজ সম্পাদন, তিন আঙ্গুলে সালাম ও ডান হাত করমর্দন, স্কাউট পোশাক, স্কার্ফ ও ব্যাজ পরিধান এবং সর্বদা স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলা। স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের নির্দেশিত নিয়ম অনুসারে অনুশীলন, প্রতিজ্ঞাপাঠ ও দীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলনের সদস্য হতে হয়।
স্কাউটদের মটো বা মূলমন্ত্র হচ্ছে:
কাব- যথাসাধ্য চেষ্টা করা; স্কাউট- সদা প্রস্তুত; এবং রোভার- সেবাদান।
রোভার স্কাউটিংয়ের লক্ষ্য হল তরুণদের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে সাহায্য করা, নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশ করা এবং তাদের সম্প্রদায়ের সেবা করা। রোভার স্কাউট- যে সকল তরুণ-তরুণী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে অথবা যাদের বয়স ১৭ বা তার চেয়ে বেশী কিন্তু ২৫ বছরের কম তাদের রোভার স্কাউট বলে।